দিবস রজনী অনিদ্রায় কাঁপা,
প্রতিভার আগুনে জ্বলে প্রতীতির প্রভা,
সে আগুনে জ্বলেনা শুধু আকাঙ্ক্ষার বিভা,
এঁকে চলে রতদিন সে বিভার রেখা,
এখানে এখন এই আপন প্রাঙ্গনে তার।
সে প্রাঙ্গনে গলে গলে ঝরেপড়ে
মিটিমিটি চোখে লাগা সফেদ চন্দ্র দুধ,
খুজে ফেরে নিরলস জ্যোৎস্নার দেখা-
কোথায় লুকোতে যাবে নিজেকে সে তার
অনুত্তীর্য বর্নের তারা?
চিরদিনের বহুচেনা
আপন প্রাঙ্গন ছাড়া?
পারবে কি সে অনুপ্রস্থ অনেকান্তে
লভিতে আশ্রয়?
প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তবু যে খোঁজের আলয়
ধীরে ধীরে ভাসমান
হলেও বুঝি তার নিভে আসে
হঠাৎ করৃই আলোকের বিপুল ঝর্নাধারা;
দণ্ডে দণ্ডে কেনো যেনো ডুবে যায়
চোখের তারার নিরুপম কণিকা থেকে
সেই ঝর্নাধারার রূপালী আলোক শিখা।
ক্ষণে ক্ষণে আহত হয় নিরন্তর যেনো আকুল অশ্বারোহী;
তবুও আবারও ধাবিত হয় অতি ক্ষিপ্র দূরগামী
সেই একই আহত অশ্বের আরোহী-
অসামান্য সেই আনন্ত্য লোকালয়ে;
গুণে গুণে সংখ্যাহীন সামন্য প্রহরে প্রহরে-
ডুবে যাওয়া সেই লোকালয়ের 'ক্ষীর দেহ'-
দিকচক্রবালের দিকে।